
গত ১ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার একটি জাতীয় প্রত্রিকা ও অনলাইনে “বিতর্কিত ঠিকাদারের কাচ্চিতে ভূরিভোজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে চারঘাট উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আমার পক্ষ থেকে নামকরা একটি ব্রান্ডের তৈরি কাচ্চি বিরিয়ানীর প্যাকেট উপহার হিসেবে এনে পরিবেশন করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বাস্তবে উল্লেখিত কর্মকর্তা কর্মচারী নিজস্ব অর্থায়নে রাজশাহীতে খাবার অর্ডার করে এবং আমার গাড়ী রাজশাহী হতে চারঘাট আসার সময় কাকতালীয়ভাবে তাদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় শুধু খাবারগুলো ড্রাইভার অফিসে পৌঁছে দিয়েছে। তাছাড়া, সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে চলতি অর্থবছরের শেষ দিন ছিল (৩০ জুন) সোববার। ফলে এদিন বিল ছাড়ের ছিল তুমুল ব্যস্ততা এবং হিসাবরক্ষণ অফিসের একজন কর্মচারীর বরাত দিয়ে বলা হয় ঠিকাদার মুন্নার প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি বিল আটকে ছিল, আজ সেগুলো ছাড়া হয়েছে। বাস্তবে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২২ মে ২০২৫ তারিখের স্মারক নং-৫০৬ পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরের বিল জমা দানের শেষ তারিখ ছিল ২২ মে এবং বিল নিষ্পত্তির সর্বশেষ তারিখ ছিল ২৬ মে। ঐ তারিখেই জুন ক্লোজ করা হয়েছে এবং তার পর অর্থাৎ ২৭-৩০ জুন কোন বিল পাশ হয়নি। তাছাড়া, আমার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা, সাবেক আইজিপির সাথে সখ্যতা, নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি বাণিজ্য এবং অন্যান্য ঠিকাদার কর্তৃক আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ ও বিতর্কিত ঠিকাদার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সহিত ঠিকাদারী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি যা একটি কুচক্রি মহল আমার সফলতায় ঈষান্বিত হয়ে ও অমার সম্মানহানী ঘটাতে আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করেছে। এজন্য সংবাদ প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের আরো নির্ভুল ও সত্যমিথ্যা যাচাই-বাছাই ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে অনুরোধ জানিয়ে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
আবদুর রহমান মুন্না